Luvachora,sylhet

 

Luvachora is a scenic location in Bangladesh located in the Bandarban district. It is known for its natural beauty, waterfalls, and tea gardens. Here are some key features of Luvachora:

  1. Waterfalls: Luvachora is known for its waterfalls, the most famous of which is the Sairu Hill Waterfall. The waterfall is surrounded by lush greenery and offers a breathtaking view of the surrounding landscape.

  2. Tea Gardens: Luvachora is home to several tea gardens, which are spread over vast stretches of land. Visitors can take a stroll through the tea gardens, enjoy the fresh air, and learn about the tea-making process.

  3. Trekking: Luvachora offers several trekking trails that are suitable for both novice and experienced trekkers. The trails offer stunning views of the surrounding landscape and take visitors through lush forests, hills, and streams.

  4. Natural Beauty: Luvachora is known for its natural beauty, which is characterized by rolling hills, verdant forests, and winding streams. The area is home to several species of flora and fauna, including many rare and endangered species.

  5. Cultural Significance: Luvachora is also of cultural significance, as it is home to several indigenous communities who have their own unique customs and traditions. Visitors can learn about the local culture and way of life by interacting with the locals and attending cultural events.

  6. Accessibility: Luvachora is located approximately 50 km away from the city of Bandarban and is easily accessible by road. Visitors can hire private cars, buses, or motorcycles to reach Luvachora from Bandarban.

Overall, Luvachora is a beautiful and peaceful destination that offers visitors the chance to explore nature, trek through the hills, and learn about the local culture. It is a great place to visit for those who want to experience the natural beauty of Bangladesh and its unique culture.

 
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অসংখ্য ছোট বড় নদী বিধৌত অপূর্ব শোভায় শোভিত প্রাচীন জনপদটির নাম কানাইঘাট। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৫১.২ কিলোমিটার দূরে উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। কানাইঘাট বাজার ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদীর দু’পারেই দু’টি বাস ষ্টেশন আছে। সীমান্তকে ঘিরে রেখেছে খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড়। এর পাদদেশে অবস্থিত অসংখ্য টিলা। আবার এসব টিলার মধ্য দিয়ে অসংখ্য নদী বা ছড়া পাহাড় থেকে এসেছে। এসব আঁকাবাঁকা নদীর দু’পাশে শত শত জাতের গাছপালা, আর বনজফুল, ফলে শোভিত টিলার বন-জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নৌকায় চড়ে উঠলে কি এক অপরূপ মনোরম দৃশ্য মন কেড়ে নেয়।

কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লোভা ছড়া চা বাগান, লোভা পাথর কোয়ারী, বালুমহাল, বনায়ন প্রকল্প, রিজার্ভ ফিসারী ও লোভা নদী তীর ঘেঁষা এলাকার নয়নাভিরাম দৃশ্যকে ঘিরে রয়েছে পর্যটন শিল্পের উজ্জল সম্ভাবনা। এই প্রাচীন এলাকাটিতে রয়েছে উপভোগ করার মত বেশ কিছূ দৃশ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় উঁচু নিচু পাহাড়। পাহাড়ের ঢালে রয়েছে ঝর্ণা লেক। যা দেখলে হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এই এলাকায় রয়েছে সুবিশাল চা বাগান। আর তাতে শত শত শ্রমিক আপন মনে কচি কচি পাতা তুলে নেয়।

লোভা ছড়া চা বাগানে ১৯২৫ সালে ইংরেজদের নির্মিত ঝুলন্ত ব্রীজ আছে। আছে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের মহান আন্তত্যাগের স্মৃতি গাঁথা শহীদ মিনার। চা বাগানের পাশ দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়িয়া খরস্রোতা লোভা নদী। পানি অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর। ভারত সীমান্তের কাছাকাছি লোভা এলাকায় পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌরভ-সম্ভার মানুষকে ভাবিয়ে তুলে। সূর্য ডোবার সাথে সাথেই জোনাকী পোকার মতই ভারতের বিজলী বাতিগুলো জ্বলে উঠে। চাঁদনীরাতে নবরূপ যৌবনে ভরে উঠে লোভা নদী। প্রায় সারা বৎসরই পাথর,বালু আহরিত হয় এখান থেকে। তাছাড়া মজার ব্যাপর হল খাসিয়া-জৈন্তিয়া পাহাড়ের ঢল নামার সাথে ভারত থেকে যখন কাঠ,বাঁশ নামে তখন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ জ্বালনি কাঠ সংগ্রহে মহানন্দে নেমে পড়ে।

যেভাবে যেতে হবে
সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৫১.২ কিলোমিটার দূরে উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত কানাইঘাট উপজেলা। সিলেট শহর থেকে কানাইঘাটে আসতে হলে সিলেট-তামাবিল রোড অথবা,জকিগজ্ঞ রোডে কানাইঘাট উপজেলা সদরে আসা যায়। কানাইঘাট বাজার ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদীর দু’পারেই দুটি বাস ষ্টেশন আছে। কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকায় লোভা-মূলাগুল এলাকার লোকজন যাতায়াত করে। এতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে কানাইঘাট বজার থেকে লোভা-মূলাগুলে (রিজার্ভ করে) ২-৩ শত টাকা খরচ পড়ে।

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অসংখ্য ছোট বড় নদী বিধৌত অপূর্ব শোভায় শোভিত প্রাচীন জনপদটির নাম কানাইঘাট। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৫১.২ কিলোমিটার (৩২ মাইল) দূরে উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। সীমান্তকে ঘিরে রে


খেছে খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড়। এর পাদদেশে অবস্থিত অসংখ্য টিলা, মণিপুরী টিলা, মিকিরপাড়া, লুহাজুড়ি সহ রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ স্থান। এই সৌন্দর্যের একটি প্রতীক হলো ঝুলন্ত ব্রীজ যা স্থানীয় লোকদের কাছে লটকনি ফুল নামে পরিচিত। এর অবস্থান কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে।  ব্রীজটি ১৯২৫ সালে ইংরেজদের নির্মিত। ব্রীজের পিলারের এক মাথা থেকে অপর মাথায় যে,তার টানানো হয়েছে তা দেখতে অনেকটা ইংরেজী অক্ষর ইউ এর মত। ব্রীজের পাশেই রয়েছে বিশাল চা বাগান ও পাহাড়ী টিলার মনোরম দৃশ্যে। নিচে রয়েছে লেকের মতো নুন ছড়া নদী। নদীটি লোভা নদীর একটি শাখা। পাহাড়ের মাঝে বয়ে যাওয়া নদীর স্বচ্ছ পানি মুগ্ধ করে পর্যটকদের।  ব্রীজের উপর বেড়াতে আসা পর্যটকরা আপন মনে ছবি তুলেন। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবার চোখে ভাসে। ব্রীজটি একনজর দেখার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন।
কি ভাবে আসবেন ঝুলন্ত ব্রীজেঃ    সিলেট শহর থেকে কানাইঘাটে আসতে হলে সিলেট-তামাবিল রোড অথবা,জকিগজ্ঞ রোডে কানাইঘাট উপজেলা সদরে আসা যায়। কানাইঘাট বাজার ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদীর দু’পারেই দু’টি বাস স্টেশন আছে। উপজেলা সদর থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকায় ঝুলন্ত ব্রীজে আসতে পারবেন। এতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে কানাইঘাট বাজার থেকে (রিজার্ভ করে) ৮-৯শত টাকা খরচ পড়ে। তবে রিজার্ভ ছাড়াও নৌকা পাওয়া যাবে।

Comments